বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চলে গেলেন হ্যারি বেলাফন্টে

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৩৭

চলে গেলেন হ্যারি বেলাফন্টে।  ৯৬ বছর বয়সে ম্যানহাটনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো তার।

গত শতকের পঞ্চাশের দশকে গানের দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিলেন ক্যারিবিয়ান লোকসঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী হ্যারি বেলাফন্টে। শ্রোতাদের মনে ঝড় তুললো তার একের পর এক গান। এক নতুন তারকার জন্ম হলো। তিনিই এবার অল্প রোগভোগের পর চলে গেলেন না-ফেরার দেশে।

বেলাফন্টের জন্ম ১৯২৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অভিবাসী পরিবারে। ক্যারিবিয়ান-অ্যামেরিকান গাইয়েদের মধ্যে তিনি সফলতম। তার কণ্ঠস্বরের একটা আলাদা মাদকতা ছিল। তিনি লোকগান গেয়েছেন নিজস্বতা মিশিয়ে। আর সেই গানে আলোড়িত হয়েছে আমেরিকাসহ গোটা বিশ্ব। জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে ক্যালিপসো-সহ একের পর এক অ্যালবাম। প্রায় সব দেশের মানুষ আপন করে নিয়েছেন 'জামাইকান ফেয়ারওয়েল'কে।

পাশাপাশি তিনি লড়াই করেছেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। তার হাতিয়ার ছিল গান, অভিনয় ও আন্দোলন। গান গেয়ে যত জনপ্রিয়তা বেড়েছে, ততই হলিউডের অফার আসতে শুরু করেছে। সুদর্শন এই গায়ক অনেকগুলি ছবিতে কাজ করেছেন। অভিনয় করেও অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তারপর অভিনয় ছেড়ে নিজেকে শুধু গানের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করেছেন।

বেলাফন্টের প্রথম অ্য়ালবাম প্রকাশিত হয় গত শতকের পাঁচের দশকে।

১৯৫৬ সালে তার প্রথম গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই গানের দুনিয়ায় ঝড় তোলেন তিনি। তারপর একের পর এক অ্যালবাম বেরোতে তাকে, ততই জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে বেলাফন্টের।  ছেলেবেলায় আট বছর থেকেছেন জামাইকায়। তারপর ফিরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু জামাইকাকে ভলেননি। সেখানকার গান, সুর উঠে এসেছে 'কিং অফ ক্যালিপসো'র গলায়।

বেলাফন্টে চলে গেলেন, থেকে গেল তার গান। বাঙালিও গেয়ে যাবে, 'পথের প্রান্তে কোন সুদূর গাঁয়ে' বা 'ডাউন দ্য ওয়ে'। এই সুর মাতাবে বর্তমান প্রজন্মকেও।

 

ইত্তেফাক/এফএস