শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটির মূল পর্বে বাংলাদেশের দুই মডেল 

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫১

আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগীতা মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩–এ মূল প্রতিযোগীর অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের দুই মডেল এফা তাবাসসুম ও রনি ইমরান এই প্রতিযোগিতায়। দেশের শীর্ষ মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদের ট্যালেন্ট ক্যাম্পে (এএমটিসি) হয়েছে বাংলাদেশসহ চার দেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর। 

মালয়শিয়ার পর্যটনশিল্পের প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩’। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্বে আছে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ।

এই প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশসহ ২৯ দেশের ৬০ জন প্রতিযগী অংশ নিচ্ছে। এশিয়ার বাইরের একমাত্র দেশ হলো হল্যান্ড। আর সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ভারত ও নেপাল। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সূচি বদলে ১ মে অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে বলে জানান আজরা মাহমুদ।  

তিনি বলেন, রাজধানী কুয়ালালামপুরের অভিজাত এলাকা বুকিত জলিলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ও মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনালের প্রার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্যাজেন্টের মালিক লেনার্ড ট্যান এবং মালয়েশিয়ার সুপার মডেল অ্যাম্বার চিয়া। 

আজরা আরো জানান যে এই আসরে বাংলাদেশসহ আরো তিন দেশ ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনোনীত হয়েছে আজরা মাহমুদ’স ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি)। 

এ বছর বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপাল থেকে প্যাজেন্ট পাঠাতে পারলেও শ্রীলংকা থেকে কাউকে পাঠাতে পারেন নি বলেও জানান আজরা। তবে আরো একটা খুশির খবরও তিনি শেয়ার করলেন। সেটা হলো, তাঁর দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্রী ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ শিরিন আক্তার শিলা এবার বিচারক হিসাবে অংশ নিচ্ছেন। 

বিচারকমন্ডলীতে আরো আছেন ২০১৮ সালের মিস মিয়ানমার হান থি, ২০১৮ সালের মিস ইউনিভার্স কম্বোডিয়া পার্ন নাট, ২০১৮ সালের মিস্টার গ্লোবার থাইলান্ড জিরাওয়াট ভাটচাসাকল, এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মডলে অ্যাম্বার চিয়া ও ২০১৪ সালের থাইল্যান্ডের মিস মডেল অব দ্য ওয়ার্ল্ড অনন্যা বেইফার্ন।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ জানিয়েছে যে, এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো, এমন মডেল খুঁজে বের করা যারা পরবর্তীতে কেবল ফ্যাশন আইকন হিসেবেই নয়, বরং বড় মানের তারকা হওয়ার সম্ভাবনাও রাখেন। একইসঙ্গে, এই  প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার মধ্যে দিয়ে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব জোরদার করা। 

এছাড়া এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের শিষ্টাচারসহ নানা বিষয় শেখানো জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে পেশাদার প্রশিক্ষক। দ্য ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রেটি পেজেন্টস গ্রুপ বিশ্বাস করে, সৌন্দর্য কেবল বাইরেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সেটা উৎসারিত হয় একজন মানুষের অন্তর থেকেও। তাই এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য, রোল মডেল হিসেবে সমাজের কাছে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা, অনুপ্রেরণা জোগানো এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখা। 

বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ আজরা মাহমুদ। যাঁর উত্থান ইউ গট দ্য লুক দিয়ে। বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ছাড়াও সেরা সব শীর্ষসারির ফ্যাশন শোতে নানা ভূমিকায় অংশ নিয়ে আসছেন প্রায় দুই দশক ধরের। বর্তমানে তিনি নিজেকে দেশের এক নম্বর রানওয়ে ডিরেক্টর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এছাড়াও তাঁর রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও। বাংলাদেশে মডেল গ্রুমিং থেকে ফ্যাশন শো ডিরেকশন– সবার আগে উচ্চারিত হয় তাঁর নাম। তাঁর যোগ্যতার পাশাপাশি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণেই তাঁকে এই প্রতিযোগিতায় চার দেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নিযুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ।  

আজরা জানাচ্ছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আস্তে আস্তে। সবাই বড় বড় আসরের দিকে হাত বাড়ায়। যেটা তাঁর মতে বাস্তবসম্মত নয়। বরং সারা বিশ্বে অনেক ছোট ছোট আসর আছে। সেখানে শেখা যথেষ্ট সুযোগ আছে। এই সব আসরে অংশ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বাংলাদেশে মডেলদের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাগুলোয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যেম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল সম্পর্কে অবগত করাই আমার লক্ষ্য। 

আজরা আরও বললেন, এই ধরণের ছোট ছোট প্যাজেন্টগুলোতেও শেখার অনেক কিছু থাকে। আর এর মাধ্যমেই বড় আসরে যোগদানের পথ সুগম হয়। এজন্যই আমি এই ধরণের আসর খুঁজে বের করে বাংলাদেশের প্রতিনিধত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ইত্তেফাক/এএইচপি