যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক সময় মানুষের স্বাধীনতা আদায়ে সোচ্ছার ছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক এখন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পটু বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা। বুধবার (৩ মে) সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ এক যৌথ বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজকে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন সংগঠনটির নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেন, গবেষণার জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিবেশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধরনের কর্তৃত্বপরায়ণ সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয় তৈরি করে, যা গবেষণার পরিবেশের পরিপন্থী। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের যেকোন বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। যদি কারো মতামত কেউ পছন্দ না করে বা কারো কথা অযৌক্তিক মনে হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে পাল্টা মতামত নিয়ে এর প্রতিবাদ করতে পারে। সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণীত এবং জনবিরোধী ও ফ্যাসিবাদি শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপূরক।
বিজ্ঞপ্ততিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে কর্তৃত্ববাদী মতের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু বলা ও লেখা যায় না। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বিষয়টি এর আর একটি প্রমাণ। যারা বাকস্বাধীনতার কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলে, তারাই আবার অধ্যাপক ইমতিয়াজের মতো ব্যক্তিদের বাকস্বাধীনতায় বাধার সৃষ্টি করে।