শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গ্রেফতার এড়াতে পরিচয় পালটে ফেলেন নারী জঙ্গি

আপডেট : ০৫ মে ২০২৩, ০১:৩৪

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক জন মহিলা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্না ওরফে পারুমী ওরফে পারুল ওরফে আসিয়া। 

বুধবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরের ব্লক-সি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে মো. আরমান এক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি।

এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গ্রেফতার উম্মে কুলসুম ২০০৭ সালে  সবুজ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে জেএমবির  সক্রিয় সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে বিয়ের পর থেকে সক্রিয়ভাবে জেএমবির কাজে অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্তে ২০১০ সালে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় প্রথম দিকে কিছু দিন ঢাকার মগবাজারে তার এক বান্ধবীর (যিনি নার্সের চাকরি করতেন) বাসায় আত্মগোপনে থাকেন। পরে তিনি টঙ্গি এলাকায় বসবাস করে ইকরা মহিলা মাদ্রাসা, হুজুত আলী মাদ্রাসা এবং দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি করেন। এই সময় উম্মে কুলসুম নিজের পরিচয়কে সম্পূর্ণরূপে আড়াল করার চেষ্টা করেন। তিনি তার প্রকৃত পরিচয় গোপন করে বাবা-মার নাম পরিবর্তন করে নতুন জন্মসনদ তৈরি করে ভোটার আইডি তৈরি করেন। ভোটার আইডিতে তার নাম আসিয়া বলে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তিনি আসিয়া নামে সবার কাছে পরিচয় দিতেন। সর্বশেষ তিনি মিরপুর-১২ নম্বরে আসিয়া নামে বসবাস শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে  ভিন্ন ভিন্ন মামলায় মোট তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলতুবি রয়েছে।

অপরদিকে পৃথক একটি অভিযানে চান্দগাঁও থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আরমান নামে এক তালিকাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। ঐ মামলায় জামিন নিয়ে আদালতে হাজিরা না দিয়ে দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর যাবত পলাতক ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানা, সিএমপি চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ অন্যান্য আইনে মোট ১০টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার নারী জঙ্গি ও আরমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এটিইউ কর্মকর্তা।

ইত্তেফাক/এমএএম