রাজধানী ও বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ বা ধাত্রী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৫ মে) সেমিনার, শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘তথ্য থেকে বাস্তবে: সব মিডওয়াইফ একসাথে’। প্রসূতি মা ও নবজাতকের জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত মিডওয়াইফদের ভূমিকা তুলে ধরতে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা নার্সিং কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উদ্যোগে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নুর ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক। শোভাযাত্রায় নার্সিং কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং নার্সিং কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাংলাদেশ তাত্পর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করলেও এ ব্যাপারে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর শিক্ষার হার ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি এবং সন্তান জন্মদানে সামর্থ্যের (ফার্টিলিটি) হার কমে যাওয়া হচ্ছে মাতৃমৃত্যুর হার কমার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এসআইডিএর উদ্যোগে ‘স্বাভাবিক প্রসবে মিডওয়াইফদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বাছাইকৃত মিডওয়াইফরা প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২০ সালে সন্তান প্রসবকালীন প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু ছিল ১৬৩ জন। কিন্তু জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল এই মৃত্যু প্রতি লাখে ১২১ জনে নামিয়ে আনা। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু কমিয়ে প্রতি লাখে ৮৫ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সে জন্য দক্ষ মিডওয়াইফদের তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব ৮০ শতাংশে উন্নীত করার তাগিদ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় মিডওয়াইফের সংখ্যা কম। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার মিডওয়াইফ পদ তৈরি হলেও ২ হাজার ৫৫৭টি পদে কাজ চলছে।