কর্ণাটক দক্ষিণ ভারতের একমাত্র রাজ্য যা বর্তমানে বিজেপি শাসিত। তবে, গত কয়েক বছরে মোদির কর্মকাণ্ড রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের এই রাজ্যে স্কুল ও কলেজে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। বাজারে হালাল মাংস বিক্রির ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমনকি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য ৪ শতাংশ কোটা ব্যবস্থাও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজেপির এই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ফলে সমালোচনা হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে কাঁপছে বিজেপি সরকার। শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চলছে। মোদি সরকার নতুন কর্মসংস্থান, রান্নার জন্য বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণসহ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'কংগ্রেস শুধু মিথ্যা বলছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য বিজেপির যা যা করা দরকার তা করছে।'
তবে হিজাব ইস্যুর পর মোদির দল মুসলিম অধ্যুষিত ১৩টি আসনে নামতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই এ বছর বেশিরভাগ পোলিং এজেন্সি কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, বিজেপি শুধু এই রাজ্যকে লুণ্ঠন করেছে। সব সেক্টরে দরিদ্র মানুষের টাকা লুট করা হচ্ছে। তরুণদের কর্মসংস্থান কমে গেছে। কংগ্রেস যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে প্রকল্প চালু করবে।
বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের বাসিন্দা, তাই জনগণের আস্থা অর্জন করা অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।