শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

লালন আখড়ার সাধুসঙ্গে হামলা, পুলিশ বলছে দুই মাতালের কাণ্ড

আপডেট : ০৮ মে ২০২৩, ১৮:৫৬

নরসিংদীর বেলাবতে লালন আখড়ার সাধুসঙ্গে হামলা চালিয়ে বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ মে) ভাঙচুর করা এসব বাদ্যযন্ত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়।

গতকাল রোববার (৭ মে) বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামে জাহাঙ্গীরের লালন সংগীতের আখড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সাধুসঙ্গে আসা শিল্পীরা। তবে পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি ওই এলাকার একটি ড্রাগন বাগানে দুই মাতালের ঝগড়ার একপর্যায়ে গানের কিছু বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে।  

শিল্পীদের অভিযোগ, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই আখড়ায় সাধুসঙ্গ ও গান-বাজনা চলছিল। এ সময় মাতাল অবস্থায় আখড়ায় ঢুকে স্থানীয় মজনু শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ। সে আখড়ায় অতিরিক্ত মাতলামি করতে থাকলে আখড়ার লোকেরা তাকে জোর করে আখড়া থেকে বের করে দেয়। পরে বাড়িতে গিয়ে জাহাঙ্গীর তাকে মারপিট করেছে এমন অভিযোগ দিলে  শাহীন শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, শরীফ শেখ, ফজুলু শেখসহ ৬ থেকে ৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। 

এ সময় তারা একতারা, ডুগি, হাতবাড়া, খমক, দোতারা, সারিন্দা, তবলা উকুলেলে, গিটার, বাঁশিসহ সব বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে ও সাধুদের মারধর করে। তাদের মারধরে সাধু রিয়াদ ভূইয়া, মিন্টু ফকির, রকিব ফকিরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সোমবার এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। লালন সংগীতকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যই এ হামলা চালানা হয় বলে দাবি করছেন কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লালন শিল্পীরা।

পুলকিত আশ্রম-এর প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লালনভক্ত বেলাব বাজারের প্রয়াত ব্যবসায়ী সুমন মিয়ার চল্লিশা অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিলাদ ও ভক্তিমূলক গানের আয়োজন করেছিলাম। হঠাৎ করেই তারা হামলা করে বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর ও সাধুদের মারপিট করে। 


 
সাধু রিয়াদ ভূইয়া বলেন, লালন চর্চাকে ধ্বংস করার জন্য তারা হামলা করেছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান বলেন, ঘটনাটি সামাজিকভাবে বসে মীমাংসা করব।

বেলাব থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, এলাকার একটি ড্রাগন বাগানে দুই মাতাল ঝগড়া লেগে গানের কিছু বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

ইত্তেফাক/পিও