শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষা কেন্দ্রে ছেলে

আপডেট : ১১ মে ২০২৩, ১৭:৩১

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে সুনীল সমদ্দার (৫২) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বাবার মৃত্যুর এ খবর শুনে সুনীলের ছেলেকে দিতে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। নিহত সুনীল সমাদ্দার উপজেলার গৈলা গ্রামের মৃত রাম প্রসাদ সমদ্দারের ছেলে। 

বুধবার (১০ মে) রাতে বরিশাল থেকে আগৈলঝাড়া ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সুনীলের সঙ্গে থাকা অপর ব্যবসায়ীকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দার বরিশাল থেকে এক লাখ ষাট হাজার টাকার ইলিশ মাছ কিনে পয়সারহাটগামী লোকাল বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই গাড়িতেই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। 

অপরদিকে একই গাড়িতে করে উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদ এর ছেলে গৈলা বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী সৈয়দ সরোয়ার হোসেন (৪৫) গৌরনদীর মাহিলাড়া হাট থেকে সুপারি কিনে  বাড়ি ফিরিেছলেন। তিনিও ওই গাড়িতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরেন। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের দু’জনকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। 

বাসটি গৈলার রথখোলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দার গাড়ি থেকে নামার পর পরই অজ্ঞান হয়ে পরে যান। এ সময় স্থানীয়রা ওই দুই ব্যবসায়ীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে সুনীল সমদ্দারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তালুকদার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বাবার মৃত্যুর পরও তার ছোট ছেলে উজ্জল সমদ্দার চলতি এসএসসি পরীক্ষায় সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ধর্মপরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার সুনীল সমদ্দারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার নিজ বাড়ি গৈলা গ্রামে অন্তুষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া দুই রোগীর এক জনকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপর রোগীরও জ্ঞান ফিরে না আসায় ওই রাতেই তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর ব্যবসায়ী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি সুপারী ব্যবসায়ি  সৈয়দ সরোয়ার হোসেনের ভাই আতিয়ার হোসেন জানান, আমার ভাই এখনও চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার জ্ঞান ফেরেনি।। পুলিশ, হাসপাতালে গিয়ে অজ্ঞান ব্যক্তির পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।  

ইত্তেফাক/এবি/পিও