এক শিফটের সাধারণ স্কুলগুলোকে সকাল ১০টায় পাঠদান শুরু করে বেলা ১টা পর্যন্ত চলছে। এর পর থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিরতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিরতির পর বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদান করতে বলা হয়েছে। অপরদিকে দুই শিফটের স্কুলগুলোতে প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু করে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। আর এর পর থেকে থেকে ১০টা পর্যন্ত বিরতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিরতির পর পুনরায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাঠদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর দ্বিতীয় শিফট বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু করে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। বিরতি দিতে বলা হয়েছে ৩টা পর্যন্ত। একই সঙ্গে বেলা ৩টা ৫ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদানের কথা বলা হয়েছে।
এভাবেই ক্লাস শুরু, বিরতি এবং কখন পাঠদান শেষ হবে তা উল্লেখ করে সমন্বিত রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির কোনো ক্লাস কখন হবে, তা উল্লেখ করা হয়েছে রুটিনে। মাউশি জানিয়েছে, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে। আর নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় পিরিয়ড হবে ৬০ মিনিটের এবং চতুর্থ থেকে সপ্তম পিরিয়ড হবে ৫০ মিনিটের।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী- শরীরচর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন—গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ, প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোক্রমেই সেশনের সময় কমানো যাবে না।
রুটিনে উল্লিখিত ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির কোনো বিষয়েই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণই শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাকে সে বিষয়েরই সেশন/শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
এছাড়া দুই শিফট—সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বলা হয়েছে, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে। নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে সপ্তম পিরিয়ডে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে। রোল কলের কারণে প্রথম পিরিয়ড হবে ৪৫ মিনিটের এবং বাকি পিরিয়ড হবে ৪০ মিনিটের।