ঝিনাইদহের বাজারে নতুন বোরো চাল ওঠার পর কেজি প্রতি সাত টাকা থেকে দশ টাকা দাম কমেছে।
বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসমতী চাল বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৭৬ টাকা। তা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা কেজি দরে। কথিত মিনিকেট প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৭০ টাকা, তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। বি আর-২৮ প্রতি কেজির দাম ছিল ৬০ টাকা, এখন কমে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে। সুবললতা চাল বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৬২ টাকা, তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। তবে মোটা চালের দাম কমেনি। মোটা চাল স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা বাজারে খুচরা চাল ব্যবসায়ী প্রকাশ সাধু বলেন, সব ধরনের চিকন চালের দাম কমেছে। তবে মোটা চালের দাম কমেনি।
শৈলকুপা বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রঞ্জন সাহা বলেন, নতুন বোরো ধান উঠার পর চিকন চাল প্রকারভেদে প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) ৩০০ টাকা কমেছে। বাসমতী চাল প্রতি বস্তা দুই হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছিল, তা কমে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০০ টাকায়। চালের বেচাকেনাও কম বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক আজগর আলি বলেন, এবার এ জেলায় ৮৯ হাজার ৮১৪ হেক্টরে বোরো চাষ হয়েছে। ধানকাটা প্রায় শেষ। ফলন ভালো হয়েছে। নতুন ধান ওঠার পর দাম কমেছে।
এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে বলে জানান তিনি।
কৃষি বিপণনের মার্কেটিং অফিসার গোলাম মারুফ খান জানান, চালের দাম প্রকারভেদে প্রতি কেজি ১০ টাকা করে কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে। আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা ও ডিম প্রতি হালি ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের সবজির দাম চড়া। পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, উচ্চে ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকা ও রসুন ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহের গাড়াগঞ্জের ইজিবাইক চালক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, চালের দাম কমায় একটু স্বস্তি এসেছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম চড়ায় অস্বস্তি বেড়েছে।
তবে বাজারে মসলার দাম তরতরিয়ে বেড়ে চলেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। জিরা দাম চড়ে এখন প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় উঠেছে।