অতি শক্তিশালী রূপ ধারণ করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এর ফলে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হতে পারে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, ঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ দেখতে ক্লিক করুন: https://www.windy.com/?29.764,84.902,3,m:fc6ahJd
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ দেখতে ক্লিক করুন: https://live6.bmd.gov.bd/satelite?fbclid=IwAR0d7RI6fgFxM7Ef4_ZhWb5geADLElnFQ2DKnGi0RtkSvkcEJzlDmM04qXc
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।