শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি ওমেন্স হ্যান্ডবল

চেনা মালদ্বীপকে উড়িয়ে দিল আমজাদের বাংলাদেশ

আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ১০:৪৬

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংলগ্ন হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি ওমেন্স টুর্নামেন্ট। লড়াই করছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। ম্যাচ চলাকালে বাংলাদেশ দলের ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে কখনো উল্লাস করছেন। কখনো হতাশায় মুখ ফিরিয়ে পেছনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। আবার একটু পরই চিৎকার করে ইশারার মাধ্যমে জিমি আক্তার, রুনা আক্তারদের নির্দেশনা দিচ্ছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ হ্যান্ডবল দলের কোচ আমজাদ হোসেন।

যে মালদ্বীপ হ্যান্ডবল দলের এক সময়ের প্রধান কোচ ছিলেন এই আমজাদ। পদবি প্রধান কোচ হলেও মালদ্বীপের তৃণমূল পর্যায় থেকে হ্যান্ডবল খেলোয়াড় তৈরি, রেফারি প্রশিক্ষণ সবই করেছেন তিনি। আমজাদের কাছে মালদ্বীপের হ্যান্ডবল যেন হাতের তালুর মতো চনা।

২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন মালদ্বীপ দলের কোচ হিসেবে। সেখানে দায়িত্ব ছাড়ার পর আজই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন মালদ্বীপের। চেনা প্রতিপক্ষকে হারাতে তাই খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি আমজাদের শিষ্যদের। পল্টন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৩৮-২১ গোলে হারায় মালদ্বীপকে।   

গতকাল শনিবার (১২ মে) টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশ খেলেছে দুটি ম্যাচ। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুপুরে বাংলাদেশ ইয়ুথ (অনূর্ধ্ব-১৭) দল ৪৮-১০ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপের ইয়ুথ দলকে। গ্যালারিতে দর্শকের উন্মাদনা ছিল সেই দুপুর থেকেই জুনিয়র দলের ম্যাচ শুরু হলে যেন সেই উন্মাদনা পায় বাড়তি মাত্রা। যখনই বল নিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা বক্সে ঢুকেছেন, কোনো একজন খেলোয়াড় ডাইভ শট দিয়েছেন, দর্শকেরা করতালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন সবই। 

ম্যাচের শুরুর দিকে অবশ্য বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ম্যাচের প্রথম গোলটি করে মালদ্বীপ। এক সময়ে মালদ্বীপ এগিয়ে যায় ৪-৩ ব্যবধানে। একটা পর্যায়ে অবশ্য বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১২, মালদ্বীপের ছিল ৮। কিন্তু সময় যতই গড়িয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা ম্যাচের লাগাম নিজেদের মুঠোয় পুরে নিয়েছেন। ঐ সময় বাংলাদেশের মেয়েরা কুইক থ্রো ও রক্ষণ সামলানোর দিকে নজর দেয়। তাছাড়া মালদ্বীপ দলে ছিল না কোনো লং শুটার। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৯-৯ গোলে। বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছেন সানজিদা আক্তার। ১১ গোল করেছেন সানজিদা মিনজ।

ইত্তেফাক/এসএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন