ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির গতিবেগ ও বেড়েছে। সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় প্রচণ্ড ঢেউয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে নদী উত্তাল থাকায় এবং মহাবিপদ সংকেত বলবৎ থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও জেলা সদর সহ হাতিয়া থেকে বাইরের নদী পারাপারের সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখায় বাতাস বাড়লেও এখনো হাতিয়ায় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রয়েছে।
হাতিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান জানান, বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলে এবং গাছপালা ভেঙে না পড়লে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখার চেষ্টা থাকবে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.কায়সার খসরু বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় মেডিকেল টিম ও জরুরি সেবাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন কর্মকর্তারাসহ আমি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছি এবং বেড়িবাঁধের বাহিরে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেন, সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।