ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থলভাগে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস জানায়, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরসমুহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১৫-২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস ও অস্থায়ীভাবে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কমবে রাতের তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতর জানায়, সেন্ট মার্টিনে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ‘আঘাত’ হানে ‘মোখা’। দেশের অন্য উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে এর বিশেষ প্রভাব পড়েনি। তবে সামান্য বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সুন্দরবন এলাকায়ও কোনো প্রভাব পড়েনি।
‘মোখা’ কক্সবাজার অতিক্রম করতে ৯ ঘণ্টা সময় নিয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে অতিক্রম শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুয়ে অঞ্চল দিয়ে যায়।