বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

টিকলো না মমতার নিষেধাজ্ঞা, পশ্চিমবঙ্গে চলবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’!

আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, ১৮:১৩

ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ০৮ মে নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করেছেন মমতা। কিন্তু মমতা সরকারের এ আদেশের স্থগিতাদেশ দিল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে পশ্চিমবঙ্গে এই সিনেমা চালাতে বাঁধা থাকলো না।

বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত মন্তব্য করেছে, গত ৮ মে পশ্চিমবঙ্গ সিনেমা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় পুরো রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে নির্দেশিকা জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আমাদের সামনে যে সব যুক্তি পেশ করা হয়েছে, তাতে আমাদের মনে হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে (দ্য কেরালা স্টোরি) প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তিসম্মত নয়। তাই ওই সিনেমা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হল।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার একটি পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র নির্মাতাদের আইনজীবী হরিশ সালভে দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার হলফনামায় জানিয়েছে যে একজন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো অফিসার সিনেমাটি দেখেছিলেন। তার মনে হয়েছিল, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রদর্শিত হলে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হতে পারে।

একজনের আবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে ঘৃণামূলক সিনেমা বলে মনে হয়েছে। একজন দাবি করেছেন যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ একটি সাম্প্রদায়িক সিনেমা। ১৩ জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো সরকারকে বলেছিল যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক। মহারাষ্ট্রে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু সেখানে তো ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার অন্যতম পোস্টার ছবি: সংগৃহীত

রাজ্যের আইনজীবী সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন, নির্মাতারা প্রথমে দাবি করেছিলেন যে ৩২,০০০ প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে ওই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই সংখ্যাটা মাত্র তিন।

একইসুরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী গোপাল এস জানান, যদি নির্মাতারা সতর্কীরণ ব্যবহার করেন যে ৩২,০০০ মহিলাকে ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি কাল্পনিক, তাহলে রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই। যে লোকটার ৭০ লাখ ফলোয়ার্স আছে এবং যিনি এরকম টুইট করছেন, তার প্রতি অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না রাজ্য সরকার।

ইত্তেফাক/বিএএফ