বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামিন পাওয়ায় আসামিদের অপহরণ করলো বাদী

আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ২১:০৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের সামনে থেকে আসামিকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে বাদীর বিরুদ্ধে। পরে ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে আদালত চত্বর থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃতরা হলেন, জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৩০), একই গ্রামের নেসার উদ্দিনের ছেলে হিমেল মিয়া (১৯) ও আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামোড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে মুন্না মিয়া (৩৫)। 

গ্রেপ্তার অপহরণকারী হলেন লাল মিয়া (২৯)। তিনি গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, কসবা উপজেলার লাল মিয়ার সঙ্গে সোহাগ মিয়া, হিমেল মিয়া ও মুন্না মিয়ার বিরোধ চলছে। এরই জেরে লাল মিয়ার সঙ্গে কয়েকদিন আগে তাদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় লাল মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় সোহাগ মিয়া, হিমেল মিয়া ও মুন্না মিয়া আত্মসমর্পন করতে আদালতে আসেন। আদালত তাদেরকে জামিন দেন। জামিন পেয়ে তারা আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় সামনের রাস্তা থেকে মামলার বাদী লাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের তার ভগ্নিপতি ও খালাতো ভাই সাহস মিয়াসহ ৬-৭ যুবক তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। পরে তাদেরকে প্রথমে শহরের ওয়াপদার ভেতরে ও পরে ভাদুঘর রেললাইন এলাকায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এসময় লাল মিয়া ও সাহস মিয়া তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদেরকে ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।

পরে তিন যুবক তাদের স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে লাল মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়। সুযোগ বুঝে অপহৃত যুবকদের একজন ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ভাদুঘর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তিন যুবককে উদ্ধার ও অপরহনকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে লাল মিয়ার কাছ থেকে বিকাশের মাধমে নেওয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে তিন যুবককে উদ্ধার করি ও অপহরণকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। শুক্রবার গ্রেপ্তার লাল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক/এবি