বড় টেক কোম্পানিরা একে অপরের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। একের পর এক নতুন আপডেট ও ফিচার নিয়ে তারা টেক্কা দিয়ে চলেছে। তবে কোম্পানিগুলো একটু সতর্কও হয়েছে। তারা এখন তাদের কোম্পানির ভেতরের খবর দিতে নারাজ। সেজন্য অন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারেও তারা অনেক কড়াকড়ি শুরু করেছে।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অ্যাপল তাদের ডাটা নিয়ে অনেক চিন্তিত। তাদের আশঙ্কা জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে তাদের কোডিং ডাটা উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে। আগামী এক মাসের জন্য তাই তারা চ্যাটজিপিটিকে নিষেধাজ্ঞায় রাখছে। সিদ্ধান্তটি একটু স্বাভাবিকই। মাত্রই চ্যাটজিপিটির অ্যাপ আইওএসে উন্মুক্ত হয়েছে। এর আগে স্যামসাং ওপেনএআই এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরবর্তীতে ওয়ালমার্ট, ব্যাংক অব আমেরিকা, সিটি, ভেরিজন, ওয়েলস ফার্গোসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অ্যাপল নিজেও জেনারেটিভ এআই ডিজাইনের কাজ করছে। তবে এখনো তা খুব বেশি ব্যবহারকারীকে দেয়া হয়নি। তারা ল্যাঙ্গুয়েজ জেনারেটিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে। এর আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত বুক ন্যারেটর সফটওয়ার জানুয়ারিতে চালু করে অ্যাপল। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে অ্যাপল পিছিয়ে আছে বলা যাচ্ছে না।