ওপেনএআই বলেছিল তারা আইওএসের জন্য নতুন একটা অ্যাপ করবে। তারা সেই কথা রেখেছে। অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও তারা একটি নতুন অ্যাপ চালু করছে। কবে এই অ্যাপ আসবে তা এখনো জানা যায়নি অবশ্য।
ওপেনএআই জানিয়েছে, অ্যাপ ব্যবহার করতে কোনো খরচ হবে না। চ্যাট হিস্টোরি ওয়েবের সঙ্গে সিংক করা যাবে, ভয়েস ইনপুট ফিচার আছে ও ওপেনএআইয়ের ওপেন সোর্স স্পিচ রেকগনিশন মডেল হুইসপারও এই অ্যাপে পাওয়া যাবে। আইফোন কিংবা আইপ্যাড দুই ডিভাইসেই এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। আপাতত তারা যুক্তরাষ্ট্রেই এই অ্যাপের সুবিধাটি চালু করছে এবং আস্তে আস্তে অন্যান্য দেশেও তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। গত বছর নভেম্বরে নতুন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চালু হয়েছিল। তারপর থেকেই এর ব্যবহারকারী বাড়তে শুরু করেছে।
অনেকে ধারনা করেন জানুয়ারি নাগাদ চ্যাটজিপিটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তবে ওপেনএআই নিজে এই সংখ্যা কাউকে জানায়নি। চ্যাটবটটি একটি পরীক্ষামূলক কাজ হিসেবে বাজারে এসেছিল। নতুন অ্যাপ নিয়ে ওপেনএআই খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তা মনে হয় না। ফেব্রুয়ারিতে তারা প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন চালু করে। যদিও চ্যাটজিপিটি নিয়ে বিতর্ক শেষ হচ্ছিলো না। এতদিন মাইক্রোসফট বিং এর মাধ্যমে মোবাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট ব্যবহার করা যাচ্ছিলো। কিন্তু এখন অফিশিয়ালি চ্যাটজিপিটির অ্যাপ চলে আসায় প্রতিযোগিতা আরেকটা বাড়লো। অবশ্য মোবাইল অ্যাপের এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ডাটা চুরি কিংবা ভুল তথ্য পাওয়ার আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।