শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইবিতে ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস

আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ১৬:২৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছ পদ্ধতির ‌‘বি’ ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছিল ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’। অন্তত আটটি বাইক নিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা।

শনিবার (২০ মে) দূর দূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কলম, মাস্ক, সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। 

সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম ও মাস্ক বিতরণ করা হয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। প্রধান ফটক, ঝাল চত্বর ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ছিল সুপেয় পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা। প্রধান ফটকে অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। একই স্থানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে ছাত্রলীগ।

এদিকে ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রমে খুশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। একাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সেবায় তাদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমেছে। এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। সামনের দিনগুলোতে তাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও প্রত্যাশা করেন তারা। 

মেহেরপুর থেকে আগত পরীক্ষার্থী  রাজিবুল বলেন, ছাত্রলীগের থেকে সেবা পেয়েছি। তারা বাইক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। 

এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সারথি হয়ে কাজ করে যাওয়া ছাত্র সংগঠন। আমরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করেছি।

সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিরলসভাবেভাবে কাজ করে যাচ্ছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে ৬ টি বাইক নিয়ে আমাদের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস পরিচালনা করার কথা থাকলেও পরে শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তা বাড়িয়ে আটটি করা হয়। হলের নেতা কর্মীরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়ে কলম, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখভাল নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করেছে।

ইত্তেফাক/এআই