পাকিস্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে ‘মাইনাস ইমরান’ ফর্মুলা মানতেও রাজি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (২০ মে) সোশ্যাল মিডিয়ায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান দাবি করেন, একটি দলকে ধ্বংস করতে গিয়ে পুরো দেশকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার।
গতকাল তিনি দাবি করেছেন, ইসলামাবাদে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতারের ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, সামরিক স্থাপনায় হামলার বিচার হবে সংবিধান অনুযায়ী। আবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ঐ সহিংসতার বিচার করতে নতুন করে সামরিক আদালত গঠন করা হবে না। যদিও সেনাপ্রধান বলেছেন, সেনা স্থাপনায় হামলার বিচার সেনা আইনে করতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে।
মঙ্গলবার ইমরানকে গ্রেফতারের সম্ভাবনা
শনিবার ইমরান খান বলেন, পরিকল্পিতভাবে গত ৯ মে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। তার দল পিটিআইকে ধ্বংস করতেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
ইমরান খান বলেন, কেবল পিটিআইকে ধ্বংস করতে পিডিএম সরকার পুরো দেশকে ধ্বংস করছে। সরকার ‘মাইনাস ইমরান’ ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে চায়। ইমরান খান বলেন, ‘সরকারকে বলতে হবে যে, আমি রাজনীতি থেকে সরে গেলে দেশের উপকার হবে। সত্যিই যদি দেশের উপকার হয় এবং দেশ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়, তাহলে আমি সেই ফর্মুলা মানতেও রাজি।’ ইমরানের দাবি, ক্ষমতাসীন জোট জানে যে জাতীয় নির্বাচনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এজন্য তারা সাবেক ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
গতকাল ইমরান খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী অক্টোবরে সরকার পার্লামেন্ট নির্বাচন করবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা মনে করবে যে পিটিআই নির্বাচনে জিতবে, ততক্ষণ ভোটে যাবে না সরকার। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে গেছে বলেও দাবি করেন ইমরান। তিনি জানান, মঙ্গলবার তার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা। সেদিন তাকে গ্রেফতারের ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৯ মে তাকে গ্রেফতার করা হয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে। এর ফলে পুরো দিন সহিংসতা হয় পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে। তাতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পেশোয়ারে রেডিও পাকিস্তানের অফিস। হামলা হয় ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সেনা কর্মকর্তাদের বাসায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। — জিও টিভি