বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সুন্দরবনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রণোদনার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে ৫ হাজার জেলের তালিকা

আপডেট : ২২ মে ২০২৩, ১৮:৪৩

মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য পূর্ব সুন্দরবনে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা ও পর্যটকের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বন বিভাগ। 

বন বিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হওয়া জেলেদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে সাড়ে ৫ হাজার জেলের তালিকা পাঠানো হয়েছে। 

জেলেরা জানায়, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আমরা এখন পরিবার নিয়ে কি খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন বন বিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় তিন মাস বেকার হয়ে থাকতে হবে।

শরণখোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সুন্দরবনে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। জেলেদের কাছে একেক জন আড়ৎদার ১৫-২০ লাখ টাকা করে দাদন দিয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে।

সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর সমিতি খুলনার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, তিনমাস সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ অর্থ সংকটে পড়বে। রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরে অনেকগুলো ইকো ট্যুরিজম সেন্টার করা হয়েছে। সেগুলোতে অনুমতি দিলে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতরা বেকার হতোনা।

পূর্ব সুন্দরবনের (বাগেরহাট) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন  বলেন, মৎস্য সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এমন  ৫৬৩০ জেলের তালিকা করে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও