মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মহা ধুমধামে সুইজারল্যান্ডে বৈশাখী মেলা উদযাপিত

আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ১৮:৪৭

“বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালীর চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে শাণিত করে, সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধের ধারাকে শক্তিশালী করে”-সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাঙ্গালীদের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত “বৈশাখী উৎসব ১৪৩০”- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সুইজাল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ সুফিউর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (২৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আরো বলেন, ধর্ম ও বর্ণসহ সকল ধরনের ভেদাভেদ ভুলে নববর্ষ বাঙ্গালীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। বাংলা নতুন বছর সবার জীবনে নতুন আশা, সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তির বার্তা নিয়ে আসুক, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেনরাষ্ট্রদূত। লাওস-কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশে বিভিন্ন নামে, একই সময়ে নববর্ষ উদযাপনের কথা তুলে ধরে তিনি নববর্ষের মধ্য দিয়ে এসকল দেশের জনগণের মধ্যে সহস্র বছরের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত ঐক্যের বিষয়টি উথ্থাপন করেন।

প্রবাসী বাঙ্গালী অধ্যুষিত অলিম্পিক শহর লুজানের একটি মিলনায়তনে ২০ মে ২০২৩, শনিবার দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক মহা-মিলনমেলায় পরিণত হয়। 3C Bangladesh (Costume, Cuisine and Culture of Bangladesh) প্রতিপাদ্য-কে সামনে রেখে মিলনায়তন ও সংলগ্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয় এবং স্টলসমূহে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার (হরেক রকম পিঠা, মিষ্টান্ন, চটপটি, ফুচকা, দই) ও বাংলাদেশের তৈরি পোষাক প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিগণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রথম সচিব কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং শশী খানের ব্যাবস্থাপনায় নৃত্য পরিচালনা এবং নৃত্যে অংশগ্রহন করেন গ্রহণ করেন পৌলোমী দত্ত, মিলি হোসাইন, রিমি হোসাইন সহ অনেক শিশু শিল্পী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাদাত হোসাইন, শহিদুল আলম স্বপন, সমিরন  বরুয়া জিশু, রিমি গৌরিচরন, রবিন বরুয়া, তুলি বরুয়া সহ প্রবাসী বাংলাদেশী ও দূতাবাস পরিবারের শিল্পীগণ। লোক সঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল গীতি, আধুনিক গান, নৃত্য পরিবেশন ও কবিতা আবৃতিতে আনন্দ মুখরিত হয়ে উঠে হলের পরিবেষ এ যেন সুইজারল্যান্ডে এক টুকরো বাংলাদেশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ বেপারি, সাধারন সম্পাদক শ্যামল খান সহ অনেক গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। আগত অতিথিদেরকে মধ্যাহ্নভোজে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার সহযোগে আপ্যায়ন করা হয়। প্রথমবারের মত জেনেভার বাইরে কোন শহরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা  রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। র‌্যাফেল ড্র এবং পুরস্কার বিতরণ শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ইত্তেফাক/এমএএম