বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৫:৩৬

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষকরা।   

বুধবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে  বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‍্যালের পাদদেশে একযোগে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ। এর আগে বেলা ১১টার দিকে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের (শিক্ষক ইউনিট) সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড অরবিন্দ সাহা, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট প্রমুখ।  

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলিনা নাসরিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. বাকী বিল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রগতিশীল শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের এই ক্ষমতায় থাকাকে মেনে নিতে না পেরে অপশক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে শেখ হাসিনাকে এরকম হুমকি মোটেও সহজ বিষয় নয়। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব চাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার থেকে জানিয়ে দেয়া হলো যে এতো সহজ নয়। ঘুপটি মেরে রাতের আধারে যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে সেই অপচেষ্টা আমরা সফল হতে দিবো না। তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে। শুধু চাঁদ নয় চাঁদের পিছনে যারা আছে সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি। পঁচাত্তরের আগে তাকে হত্যা পরিকল্পনার অনেক আলামত আমাদের কাছে ছিল। কিন্তু গণবিস্ফোরণ করতে পারিনি এটি আমাদের ব্যর্থতা। তাদেরকে আমরা এখন জানাতে সেই পঁচাত্তরের মতো পরিবেশ এখন বাংলাদেশে নাই। প্রত্যেক পাড়া- মহল্লায়, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যে হুমকি দিয়েছে তার জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কাজ করলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এইসব অপ্রাসঙ্গিক দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে না সেটা হচ্ছে সামনের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বারবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে এই শপথ আজকে করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ভাবতে কষ্ট হয় যে বঙ্গবন্ধুর যারাই জীবিত আছেন তাদের ঐ মৌলবাদী ও বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি কবরস্থানে পাঠাতে চায়। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে শুধু তার সন্তানদের এতিম নয় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষদের স্বাধীনতা ভোগ করা থেকে বিরত রাখতে চায়। 

পঁচাত্তরের পর থেকে তারা দেশকে কবরস্থান বানিয়ে রেখেছিল। সারা বিশ্বে যখন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তখন তারা কবরস্থান বানানোর মতলবে বিভোর। এই উক্তি একজন ব্যক্তি চাঁদের না এই উক্তি হচ্ছে একটি চক্রান্তের। এই চক্রান্তকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সামনে আগস্ট মাস এখন থেকেই তারা চক্রান্ত চালিয়ে যাবে। কারণ আগস্ট মাস তাদের প্রিয়। এই আগস্ট মাসেই পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিলো।

ইত্তেফাক/এআই