শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঢাবির ৪ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৭:২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের বিরুদ্ধে ৪ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সিয়াম রহমানের ৪৫০ নাম্বার কক্ষে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই চার শিক্ষার্থী। 

সিয়াম রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। এই সময় সিয়াম রহমানের নির্যাতনে সহকারী হিসেবে ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হামিদ কার্জাই।
 
ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থী হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আলম বাদশা, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী  লুৎফুর রহমান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আল আমীন ও একই সেশনের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা চারজন ৫৩২ নম্বর কক্ষে থাকি। সেই কক্ষে ১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী সুমন অনেকদিন থেকেই আমাদের চারজনকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। সম্প্রতি গ্রুপ থেকে ওই রুমে আল-আমিন নামে এক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেওয়া হয় এবং সুমনের কাপড়চোপড় বাইরে রেখে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন সিয়ামের কাছে অভিযোগ করলে সিয়াম আমাদের তার রুমে ডেকে নেয়। শুরুতেই আমাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তারপর আমাদের চুল ধরে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিতে থাকে।

তারা আরও বলেন, সিয়াম আমাদেরকে নির্যাতন শেষে আমাদের কাছ থেকে আলাদা চারটা মুচলেকা নেয় এই বলে যে, ‘আমরা বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে একমত নই। অন্যায়ভাবে সুমন আহমেদকে রুম থেকে বের করেছি। হল থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে যাব।’ পরবর্তী আমরা হল থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেই। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

ঘটনার বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। 

তদন্ত কমিটির তিন সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক শহীদ কাজী, মাহমুদুল হাসান ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক আরিফুল ইসলাম।

ইত্তেফাক/পিও