মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফলাফল প্রকাশে দেরি, অভিযোগ জাহাঙ্গীরের

আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ২২:২৭

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল প্রকাশে দেরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।  

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, আমার মাকে শহরটা সুন্দর করার সুযোগ দিন।

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমার মাকে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন। সেই হিসেবে মায়ের ভোটটা যেন আমানত থাকে, ভালো থাকে। গাজীপুরের মানুষ নিজ ইচ্ছায় গিয়ে মাকে ভোট দিয়েছেন। আমি এসেছি ইভিএম থেকে যে পেপারটা বের করে সেটা যেন আমার হাতে দেয়, কোনো হাতে লেখা কাগজ যেন আমাকে দেওয়া না হয়। জনগণের রায় যেন হাতে লিখে না দেওয়া হয়। কোনো ধরনের যেন টেম্পারিং না হয়।

এ ছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় কোনো সংঘাত ও সহিংসতা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল চারটায়। এখন চলছে ভোট গণনা। 

সর্বশেষ ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারিভাবে ১৩৩ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। ১৩৩ কেন্দ্রে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা) টেবিলঘড়ি প্রতীকে ৬৮,৮০০ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান ৫৮,০২৫ ভোট পেয়েছেন। ফলে এখন পর্যন্ত বেসরকারি ফলাফলে প্রায় ১১ হাজার ভোটে পিছিয়ে গেছেন নৌকা প্রতীকের আজমত উল্লা খান।  

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা থেকে আমি বলতে পারি, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আমি বিশ্বাস করি, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। 

এদিকে আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণ ও ভোটাররা সন্তুষ্ট। প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। আপনাদের প্রতিনিধিরা (সাংবাদিক) সন্তুষ্ট। গণমাধ্যমেই তারা এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সব প্রার্থীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

এ ছাড়া মেয়র পদে অংশগ্রহণ করেছেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। 

এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনাও ছিল বেশ। প্রার্থীরাও কেউ ভোট গ্রহণের অনিয়ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। 

এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।

ইত্তেফাক/পিও