উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে শাহ সুফি আধ্যাত্মিক সাধক ইব্রাহিম শাহের মাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। মেরামত কিংবা সংস্কারের অভাবে অনেক পুরোনো ও পরিত্যক্ত এই আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো জীর্ণশীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। বসবাসের অযোগ্য হলেও এসব অসহায়দের দেখার মতো কেউ নেই।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে পারিল নওয়াদার এই আবাসন প্রকল্প খাসজমিতে অসহায়, দুস্থ ও ভূমিহীনদের জন্য তৈরি করে সরকার। এখানে ৩০টি পরিবার বসবাস করছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ভূমিহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, দুস্থ ও অসহায়। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও সংস্কার কিংবা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও এখানকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাকা মেঝে ভেঙে গেছে অনেক আগেই। লোহার জানালা-দরজা ও টিনের চাল মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ফুটো টিনের ছিদ্র পলিথিন দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারের দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। মসজিদের বেড়া, দরজা-জানালা মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ভিজে গেছে ঘরে থাকা কাপড়চোপড়সহ জিনিসপত্র। এখানকার বাসিন্দা হাজেরা বেওয়া ও কদম আলীর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও অন্যরা বলেন, ‘ঘরের চাল ভাঙা, দরজা জানালাও ভাঙা, একটু বৃষ্টি হলেই রাতে পলিথিন মাথায় দিয়ে বসে থাকতে হয়। আমাগো কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। ভোট এলে অনেকেই অনেক কথা বলে যায়। এরপর তারা আর খোঁজ রাখে না। আমাদের কথাও তাদের শোনার সময় থাকে না।’