বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কমছে পেঁয়াজের দাম অস্থির আদার বাজার

আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, ০০:১৮

বাজারে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে গত প্রায় এক মাসে পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে যে উৎকণ্ঠা কাজ করছিল তা কেটে যাচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলেও গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের। এছাড়া অস্থির আদার বাজার।

পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও অস্থির আদার বাজার। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি আমদানিকৃত আদা ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা ও দেশি আদা ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা বিক্রি হয়। যা এক মাস আগে যথাক্রমে ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গতকাল বাজারে দেশি ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাছাই করা দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ দুই দিন আগেও পেঁয়াজের কেজি ৮৫ টাকা ছুঁয়ে গেছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) বাজারদরের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এক মাস আগেও দেশের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর গত বছর এই সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। এ হিসেবে বছরের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৮১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আমদানিকৃত পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৬৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, হঠাৎ করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। কারণ, দেশে এখন যথেষ্ট পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। একশ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণেই এখন পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এখন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে; এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী  ড. আব্দুর রাজ্জাক দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ কৃষকের ঘরে মজুত আছে। এখন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তিনি এজন্য একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বলেন, একটি চক্র বাজার অস্থিতিশীল করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

বেড়েছে চালের দাম: গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে। গতকাল বাজারে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। যা সপ্তাহখানেক আগেও কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। তবে সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম বাড়েনি। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল/মিনিকেট মানভেদে ৬২ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হয়। বাজারে চালের পাশাপাশি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে। বর্তমানে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৩০ থেকে ৯৬০ টাকায়। যা দুইদিন আগে ৯০৫ থেকে ৯৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমএএম