মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

রেকর্ড রুমে জনবল সংকটে পর্চা পেতে ভোগান্তির অভিযোগ

আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, ১১:০২

রেকর্ড রুমে জনবল সংকটে মাদারীপুরে জমিজমার খতিয়ান বা পর্চা পেতে চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

মাসের পর মাস কাগজ না পেয়ে মামলাসহ বিভিন্ন কাজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। রেকর্ড রুমে জনবল সংকটে পেন্ডিং রয়েছে কয়েক হাজার আবেদন।

সদর উপজেলার নয়াচরের মুজাফ্ফর বেপারীর ছেলে ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর বেপারী। তিনি চার মাস আগে একটি পর্চা পেতে নিয়ম মেনে অনলাইনে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম আর ই-সেবা কেন্দ্রে ১২ বার গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাকে।

জাজিরা গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে নিরব মাহামুদ। তার অভিযোগ, দালাল না ধরায় দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে পর্চা পেতে। এতে হতাশাগ্রস্ত তিনি।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, আমি চার মাস ধরে ঘুরতেছি পর্চা নিতে। কিন্তু কর্মকর্তারা একবার রেকর্ড রুমে পাঠায়, আরেক বার ই-সেবা কেন্দ্রে পাঠায়। কেউ নির্দিষ্ট করে সঠিক কিছুই বলছেন না। একটি মামলা চলছে আদালতে, পর্চার জন্য মামলার গতিও কমে যাচ্ছে।

তারা ছাড়া সেবা নিতে আসা অধিকাংশ আবেদনকারী জানান, মামলা ও মোকাদ্দমা, জমি ক্রয় ও বিক্রয়, ব্যাংক ঋণসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয় জমিজমার পর্চা। তিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিতরণের নিয়ম থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর্চা না পাওয়ায় আটকে আছে বিভিন্ন কার্যক্রম। এতে তাদের আর্থিক অপচয়ের সঙ্গে বেড়েছে হয়রানি ও ভোগান্তি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সই মোহরার এই পর্চা পেতে সরকার নির্ধারিত ফি মাত্র ১০০ টাকা। অতিরিক্ত ৪০ টাকা দিলে ডাকযোগেও এই কাগজ পাঠানোর বিধান রয়েছে। জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম শাখায় কর্মরত রয়েছেন মাত্র দুজন। প্রতিদিন গড়ে তিনশ ওপরে আবেদন পড়ে। আর জমিজমার এমন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ বিতরণ করা হয় মাত্র দেড়শো থেকে দুইশ।

ভুক্তভোগী আরিফুর রহমান বলেন, শত শত সেবা প্রত্যাশী আবেদন করে রেখেছে পর্চার জন্য। যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের লোকবল নাই, তাই দেরি হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, রাজস্ব শাখায় বেশকিছু জনবলের ঘাটতি রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে জনবল আনা হচ্ছে। শিগগিরই রেকর্ড রুমের জন্য এই জনবল নিয়োগ বা দায়িত্ব দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে এই সমস্যা কেটে যাবে।

ইত্তেফাক/আরএজে