রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ট্রাফিকের ওপর হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদীর যুবদলের ৬ নেতা-কর্মী আটক

আপডেট : ২৮ মে ২০২৩, ১২:০৯

ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদীর রেলগেট এলাকা থেকে শনিবার (২৭ মে) রাতে যুবদলের ছয় নেতা ও কর্মীকে আটক করা হয়েছে। 

আটতকরা হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোনা মনি, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির জুয়েল, চয়ন, হাবিব, তরিকুল ও মামুন।

ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের ভাষ্য, রাতে সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদীর রেলগেট বন্ধ থাকায় পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম পাশে বিমানবন্দর থেকে আসা একটি হাইয়েস গাড়ি আড়াআড়িভাবে দাঁড় করালে যানবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় ট্রাফিক কনেস্টবল জাহিদ গাড়িটিকে সোজা করে রাখার জন্য বলেন যুবদল নেতা সোনামনিসহ অন্যান্যরা মারমুখী আচরণ করতে থাকে। এ ঘটনা বডি অন ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছে বুঝতে পেরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে কনেস্টবল ও টিএসআইকে মারধর শুরু করে। মারধরের মধ্যেই কনেস্টবল জাহিদ সোনামনিকে টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে আসে। অন্যরা রেলগেট এলাকায় সোনামণি ও জাকির জুয়েলের বড় ভাই বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে আশ্রয় নেয়। তাৎক্ষণিক ঘটনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে থানা পুলিশ পিন্টুর অফিসের তালা ভেঙে ভেতর থেকে অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করে। তবে বডি অন ক্যামেরা উদ্ধার হয়নি।

ঈশ্বরদীর রেলগেট এলাকা। ছবি: ইত্তেফাক

এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাসান বাসির জানান, জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টিএসআই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাস বলেন, শুনেছি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে, কিন্তু বিস্তারিত ঘটনা জানি না।  

ইত্তেফাক/আরএজে