আন্দোলনের মুখে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অতিরিক্ত দায়িত্বের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (২৮ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের কাছে তিনি নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দেন।
অতিরিক্ত দায়িত্বের উপাচার্য ড. সাজ্জাদ হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারীর দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মাহবুব সালাম সেতু পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (২৮ মে) বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত রুয়েটের চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদত্যাগ, নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ ও পদোন্নতির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা জানান, গত বছর ৩ জুলাই থেকে চলতি দায়িত্বের উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় শিক্ষকদের পদোন্নতি হচ্ছে না। দ্রুত চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদত্যাগ ও নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধানের দাবি তাদের।
তারা জানান, প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতি ও আপগ্রেড করে রুয়েট কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বিজ্ঞপ্তির পর আর কোনো বিজ্ঞপ্তি হয়নি। সকল শর্ত পূরণ করেও ১৫ মাসে অর্ধশতাধিক শিক্ষক পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রবিউল আউয়াল বলেন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ গত বছর জুলাই মাসে তার মেয়াদকাল পূর্ণ করেন। এরপর আগস্ট মাসে উপাচার্যের দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনে অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেনকে নিয়োগ দেয় সরকার। অথচ প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষক ছাড়া অন্য কেউ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাকে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে চলতি দায়িত্বের উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বিকেলে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। উপসচিব তাকে জানিয়েছেন, চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদোন্নতি দেয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া সম্ভব নয়।
তবে রাতে পদত্যাগের বিষয়ে মতামতের জন্য অনেক চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।