১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থাকা একটি নেকলেসের সন্ধান পাওয়া গেছে। নেকলেসটি প্রাগৈতিহাসিক হাঙ্গর 'মেগালোডন'র দাঁতের তৈরি। এতে আছে সোনার কারুকার্য।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গভীর সমুদ্রে স্ক্যানিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ম্যাগেলান নামক একটি প্রতিষ্ঠান হাঙ্গরের দাঁতের গয়নার ছবি তুলেছে। টাইটানিকের প্রথম পূর্ণ আকারের ডিজিটাল স্ক্যানের অংশ হিসাবে নেকলেসের ছবিটি তোলা হয়।
ম্যাগেলানের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড পারকিনসন বলেছেন, এটি আবিষ্কার করতে চালানো অভিযানটি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর।
গবেষণা দল বলছে, ব্রিটিশ-মার্কিন চুক্তির কারণে নেকলেসটি স্পর্শ করার অনুমতি পাওয়া যায়নি। ধ্বংসাবশেষ থেকে শিল্পকর্ম অপসারণে মানা ছিল।
ম্যাগেলান জানিয়েছে, ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে ২ হাজার ২০০ যাত্রী ছিলেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নেকলেসটির মালিককে শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।
টাইটানিকে থাকা সেই সময়ের যাত্রীদের ফুটেজ, বিশেষ করে তাদের মুখ ও জাহাজে ওঠার সময় তারা যে পোশাক পরেছিলেন, তা বিশ্লেষণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টাইটানিকের বর্তমান অবস্থা জানতে আটলান্টিকের গভীরে ম্যাপিং স্ক্যান পরিচালনা করে ম্যাগেলান এবং আটলান্টিক প্রোডাকশনস। প্রতিষ্ঠান দুটি প্রকল্প সম্পর্কে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করছে। দূরবর্তী সাগরে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ জরিপ করতেই বিশেষজ্ঞ দলের সময় লেগেছিল ২০০ ঘণ্টারও বেশি।