ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাত্রের সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষকের ‘আপত্তিকর মুহূর্ত’ দেখে ফেলায় ইমান আলী মোল্যা (৭) নামে আরেক ছাত্রকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত হেদায়েতউল্লাহ নামে মাদ্রাসা শিক্ষককে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে। সোমবার (২৯ মে) সকালে উপজেলার পূর্ব গাড়াখোলা এলাকার মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমান আলী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দি গ্রামের হৃদয় মোল্যার ছেলে। আটক হেদায়েতউল্লাহ (২২) নেত্রকোনার পিরের চর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, রাতে এক ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষক হেদায়েতউল্লাহ অশ্লীল মুহূর্ত দেখে ফেলে ইমান আলী। এ সময় তাকে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ওই শিক্ষক ভয়ে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠার আগেই সকালের দিকে ইমান আলীকে গলাটিপে হত্যা করে হোসাইন নামে আরেক ছাত্রকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে ইমানকে মৃত দেখে অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে শিক্ষককে আটক করে।
মাদ্রাসার প্রধান সামসুল হক জানান, দুই সপ্তাহ আগে শিক্ষক হেদায়েতউল্লাহকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে সাবধান করে হয়েছিল, ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা মারধর না করার জন্য।
মধুখালী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উপজেলার মাঝকান্দি থেকে আটক করেছি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।