চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার গঠনের ৩৩ বছর পর আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির কারণে চার শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে পৌরসভার পাশে হাইদগাঁও এলাকায় আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন স্থাপিত হচ্ছে। আর এখানে ময়লা ও আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস, জৈব সার ও বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতে সোমবার (২৯ মে) পৌরসভা মিলনায়তনে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, এ ডাম্পিং স্টেশনে ৪০০ লোকের কর্মসংস্থানের হবে। পৌরসভার বর্জ্য ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বর্জ্য ক্রয় করা হবে। এতে পটিয়ার পরিবেশ যেমন উন্নত হবে তেমনি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ২৫ কানি জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগিগরই মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে। জমি দেওয়া ছাড়া পৌরসভার আর কোনো খরচ নেই। সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি এলাকাকে স্মার্ট হিসেবে উন্নয়ন করতে হবে। বর্তমানে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে মানুষ যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ করে। ফলে সড়ক মহাসড়ক, খাল পুকুর দূষিত হয়। এতে জনস্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রোগ জীবাণু বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি ডাম্পিং স্টেশনের জমি ক্রয় নিয়ে হাইদগাঁও ইউনিয়নের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে তার মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে মেয়র জসিম উদ্দিন বলেন, পটিয়া সবার। সবাইকে নিয়েই পটিয়ার উন্নয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণে ২০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এই টাকা সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীরা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার রূপক সেন, গোফরান রানা, বেলাল হোসেন, শফিউল আলম ও আজাদুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।