আমের বাণিজ্যিক রাজধানী নওগাঁ জেলার সাপাহার সবচেয়ে বড় আম বাজার। সাপাহারে পুরোদমে পরিপক্ষ আম কেনাবেচা চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রলিসহ বিভিন্ন যানবাহন ভর্তি আম নিয়ে বাজারে আসছেন কৃষকরা।
রোববার (২৮ মে) থেকে ভালো জাতের আম গোপালভোগ বাজারে আসতে শুরু করছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে সাপাহার আমবাজারে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে সাপাহার-নজিপুর সড়কের পাশে সারি সারি ভ্যানভর্তি আম নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন চাষিরা।
বাজারে আম বিক্রি করতে আসা কৃষকরা জানান, পাইকাররা আমের দাম লাগাচ্ছে ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকা মন। এমনিতে অন্য বছরের তুলনায় প্রচণ্ড খরা মৌসুম গেছে এবার। সারা বছর বাগানের পরিচর্যা করতে গিয়ে বাগানে সেচ দিতে হয়েছে অনেকবার। এ ছাড়া সার-বিষ করে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তাতে করে এবার লোকসানে থাকতে হবে। এবার আমের দাম আশানুরূপ নয়। গত বছর এ সময়ে গোপালভোগ আম ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার দাম কম।
সাপাহার আমবাজার আড়তদার সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, এবার তাদের বাজারে ২৩০টি আড়ত বসেছে। এখন প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মণ আম উঠছে। তবে ল্যাংড়া, আম্রপালি আম এলে প্রতিদিন ২০-৩০ হাজার মণ আম বাজারে উঠবে। তখন তাদের দম ফেলার সময় থাকবে না।
এবার জেলায় প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, এ মৌসুমে ২২ মে গুটি জাতের আম, ২৮ মে থেকে গোপালভোগ, ২ জুন ক্ষীরশাপাতি/হিমসাগর, ৭ জুন নাক ফজলি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২০ জুন ফজলি, ২২ জুন আম্রপালি ও ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি ও কাটিনা আম বাজারজাত করা যাবে।
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা জানান, দেশের মধ্যে এবার নওগাঁয় সবচেয়ে বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবার আমের মৌসুমে ঝড়ঝাপটা কম হয়েছে। রোগবালাইও কম। আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার সাপাহার উপজেলায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার আম বাণিজ্য হবে।
