টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএফপিও) তাহমিনা তাবাসতুম ও ফলদা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলায় পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ৩১ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তাহমিনা তাবাসতুম ২০২১ সালের অক্টোবরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। যোগদানের পর থেকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং অডিট খরচের নামে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্থ নেন। এছাড়াও পরিবার কল্যাণ সহকারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন টিএফপিও তাহমিনা তাবাসতুম। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবার কল্যাণ সহকারীদের উঠান বৈঠকের বিল এক হাজার ২০০ টাকা পাওনা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া করোনার সময় টিকার জন্য সরকার টাকা দিলেও তারা পায়নি। মাঠ কর্মচারীদের ভ্রমণ ভাতা থেকে ৪০-৫০ শতাংশ টাকা আদায় এবং অন্যান্য ভাতা থেকে বাড়তি মোটা অঙ্কের উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ করা হয়। ফলদা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেজাউল করিমকে উপজেলা অফিসে দাপ্তরিক কাজ করছে। ফলে তার নিজ কর্মস্থল ফলদায় না গিয়ে উপজেলা অফিসে অবস্থান করেন।
পরিবার কল্যাণ সহকারী নাজমিন নাহার ও আয়শা সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন টিএফপিও তাহমিনা তাবাসতুম। এছাড়া বিভিন্ন সময় টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভাতার টাকা নিতে হয়। এছাড়া করোনার টিকা, উঠান বৈঠক বিলসহ বিভিন্ন বরাদ্দ কর্মীদের দেওয়া হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার জানানো হলে কর্মীদের খারাপ আচরণ করা হয়। বাধ্য হয়ে প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ফলদা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, নিজ ইউনিয়নেই কাজ করি। কর্তৃপক্ষ ট্যাবলসূটার হিসেবে কাজের দায়িত্ব দেওয়ায় মাঝেমধ্যে উপজেলা অফিসে গিয়ে সমস্যা দেওয়া ট্যাবগুলো ঠিক করে দেওয়া হয়। এছাড়া টিএফপিও’র সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা তাবাসতুম বলেন, পরিবার কল্যাণ সহকারী নজরুল ও রোকেয়াকে কর্মস্থলে উপস্থিত না পেয়ে শোকজ করায় আমার ও একজন পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়া হিসাবরক্ষক অবসর যাওয়ার কারণে তাদের ৬ মাসের বিল দেওয়া হয়নি। সেগুলো তারা পাবেন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি মিথ্যা।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইভি ইয়াছমিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।