ফরিদপুরের মধুখালীতে আট বছরের শিক্ষার্থী ইমান আলীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক হেদায়েতউল্লাহ (২৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে উপজেলার ৫নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসেনের আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেন। নিহত ইমান উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমশকান্দি গ্রামের বাসিন্দা রাজ মিস্ত্রী হৃদয় মোল্লার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মধুখালী থানার এসআই মাসুদ রানা বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের পাঁচ নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক হোসেনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষক হেদায়েতউল্লাহ। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মাদ্রাসার মুহতামিম শামসুল হক বলেন, হেদায়েতউল্লাহকে ১৪ দিন আগে মাদ্রাসার ক্বারি হিসেবে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। শিশুদের মারধর ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠায় তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার ছিল তার শেষ কর্ম দিবস।
মধুখালী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে নিহত ইমানের বাবা হৃদয় মোল্লা বাদী হয়ে হেদায়েতউল্লাহকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক হেদায়েতউল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার আরেক শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাঝকান্দি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ করেছে।