মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘চিরকুটওয়ালা’ 

আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, ১৮:৩৬

চিরকুটওয়ালা- নামটি শুনে যেন মনে হচ্ছে কোন প্রিয় মানুষের উদ্দেশ্যে আপনার মনের কথা লেখা চিরকুট পৌঁছে দিচ্ছেন গন্তব্যে। বিষয়টি অনেকটা তেমনি। ২০২১ সালে চিরকুটওয়ালা যাত্রা শুরু করেছিলো গ্রাহকের পছন্দের উপহার তাদের ইচ্ছে মত সাজিয়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে। 

চিরকুটওয়ালা প্রধানত একটি গিফট শপ। তারা শাড়ি, পাঞ্জাবী, শার্ট, টিশার্ট, জুয়েলারী, কসমেটিকস, বিভিন্ন রকম প্রসাধনী ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় আইটেম নিয়ে কাজ করে থাকে। তবে তাদের বিশেষত্ব এই যে অন্য সাধারণ দোকানের মত প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেন না। তারা এসব সামগ্রী গ্রাহকের হতে পৌঁছে দেন ঠিক যেমনভাবে তারা চান- কখনও বাহারি বক্সে সাজিয়ে, কখনও বা নিজের মনের ভাব গুছিয়ে কোন চিরকুটে লিখে। 

চিরকুটওয়ালার এই ইউনিক আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেন আশ্রাফ শাকিল, যিনি বর্তমানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন। চিরকুটওয়ালার কার্যক্রম শুরু হয় অনলাইনে তবে গ্রাহক চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তারা অনলাইন থেকে অফলাইনে কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ঢাকার খিলগাঁওতে তাদের নিজস্ব একটি আউটলেট রয়েছে।

চিরকুটওয়ালার প্রতিষ্ঠাতা আশ্রাফ শাকিল বলেন, "চিরকুটওয়ালার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হলো সারাদেশের গ্রাহকদের হাতে আমাদের পণ্য পৌঁছে দিয়ে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা। পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন থেকে গ্রাহকদের হাতে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত মাঝখানে যে বিভিন্ন কাজের ধাপ থাকে, সেই ধাপগুলোতে বিভিন্ন দক্ষ কিন্তু বেকার ব্যক্তির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। পোশাক খাতের বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের পরিধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানো নিয়ে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’’

বর্তমানে চিরকুটওয়ালার অনলাইন প্লার্টফর্মগুলোতে অনুসারী ও গ্রাহক রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। আশ্রাফ শাকিলের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ২০ জন ব্যক্তি কর্মরত আছেন।

এছাড়াও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্হিঃবিশ্বে দীর্ঘসময় ধরে শীর্ষ পর্যায়ে আছে। এই শিল্পের মাধ্যমেই দেশে ও বিদেশে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে। তাই এই সেক্টরে কাজ করে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখা আমাদের নিজের পক্ষেও সম্ভব। এই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি আমরা।" 

তিনি আরও বলেন, "সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা ও দক্ষ লোকের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমাদের চিরকুটওয়ালা কাজ করছে ও  ভবিষ্যতেও করে যাবে, ইন শা আল্লাহ!"

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করার পরেও সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকুরীতে নিযুক্ত হওয়ার থেকে নিজের পাশাপাশি আরও অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারলে অধিক সাফল্যের মনে করেন আশ্রাফ। সে পরিপ্রেক্ষিতেই গড়ে তুলেছেন নতুন আঙ্গিকের এই উদ্যোগ চিরকুটওয়ালা।

ইত্তেফাক/এএইচপি