দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দেশ পাকিস্তান, এর আগের স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা, মে মাস পর্যন্ত দেশটির মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫.২ শতাংশ। পাকিস্তানের সমস্যাগুলো যেন দিন দিন বেড়েই চলছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, মে মাস পর্যন্ত বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড ৩৭.৯৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো দ্বারা প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং তামাকজাত দ্রব্যের দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ ১২৩.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরে বিনোদন এবং সংস্কৃতি ৭২.১৭ শতাংশ এবং পরিবহন ৫২.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ অপচনশীল খাবারের দামও ৫০% বেড়েছে।
পাকিস্তানে আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতির পেছনে উচ্চ বৈদেশিক ঋণ, একটি দুর্বল মুদ্রা এবং হ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সহ বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। একটি বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং বিধ্বংসী বন্যা যা ২০২২ সালে দেশের এক তৃতীয়াংশ স্থান ডুবে ছিল তাও এই সংকটের জন্য দায়ী।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের কারণে দেশজুড়ে সহিংসতার সৃষ্টি হয়, যা চলমান চ্যালেঞ্জগুলোতে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট যোগ করে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার তার বার্ষিক বাজেট পেশ করার এক সপ্তাহ আগে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ প্রকাশ পায়।
খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে আলু, গমের আটা, চা, গম ও ডিম ও চালের দাম গত বছরের তুলনায় মে মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। নন-ফুড ক্যাটাগরিতে পাঠ্যপুস্তক, স্টেশনারি, মোটর জ্বালানি, ধোয়ার সাবান, ডিটারজেন্ট এবং ম্যাচবক্সের পণ্যগুলি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
করাচির মোহাম্মদ সোহেল এএফপিকে বলেন, ' এই স্তরের মুদ্রাস্ফীতি দেশের দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে।'
এর আগে পাকিস্তানে বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছিল এপ্রিল মাসে ৩৬.৪ শতাংশ। ভোক্তা মূল্য সূচকের নতুন বৃদ্ধির সঙ্গে, গড় মূল্যস্ফীতি গত ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ২৯.১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা আগের বছরের ১১.২৯ শতাংশ ছিল।