তালায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়া দাসকে লেখাপড়াসহ আনুসঙ্গীক খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সোমবার (৫ জুন) সকালে মহিলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উক্ত সহায়তা প্রদান করেন তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারসহ ঐ ছাত্রী ও তার স্বজনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, তালার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজনসাহা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়া দাস বিয়ে দিতে মরিয়া তার বাবা। গত শুক্রবার (২ জুন) তাদের বাড়িতে ছেলে পক্ষ আসার কথা ছিল। অথচ মেয়েটি কোনোভাবে বিবাহ করতে রাজি না। সে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চায়। সকালে জয়া দাসের বিয়ের খবর জানতে পেরে তিনি স্থানীয় কিশোর কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক শেফালি দাসকে ওই বাড়িতে পাঠান। এ সময় মেয়েটি ভয়ে ঐ শিক্ষকের সঙ্গে তাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে বিষয়টি তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, তালা থানার ওসি চৌধুরী রেজাউল করিমকে অবহিত করা হয়। এ সময় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আপাতাত ঐ মেয়েকে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার হেফাজতে রাখার পরামর্শ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন ইতিমধ্যে ২ জন অসহায় নারীকে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক প্রতিবন্ধী নারীকে আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসেন।