রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মেসির চুক্তি আলোচনায় নতুন মোড়

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ০৬:৩২

লিওনেল মেসির চুক্তি গুঞ্জন এতটাই জটিল রূপ ধারণ করেছে যে, চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগে কোনো খবরকেই বিশ্বাস করার উপায় নেই! মুহূর্তে মুর্হূতেই পালটে যাচ্ছে খবর।  তো মেসির এই চুক্তি গুঞ্জন-নাটকের সর্বশেষ টুইস্ট, বার্সেলোনা বা সৌদি আরবের আল হিলাল নয়, মেসিকে নাকি নাম লেখাতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসি নাকি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। যে কোনো মুহূর্তে হয়ে যেতে পারেন চুক্তি। বার্সেলোনা-ভিত্তিক সাংবাদিক সেবাস্তিয়ান কুয়াদ্রেল্লির বরাত দিয়ে আর্জেন্টিনার সনামধন্য নারী সাংবাদিক ভেরোনিকা ব্রুনাতি দিয়েছেন এই নতুন চমকপ্রদ খবর। মজার ব্যাপার হলো, নতুন এই খবরটি বার্সেলোনা-ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলোতেই ছড়িয়েছে সবার আগে।

এক দিন আগে খবর ছিল, সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছেন মেসি! এই সপ্তাহেই চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে শোনা যায়। এর মধ্যেই আবার নতুন খবর আসে, বার্সেলোনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে বৈঠকে করেছেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে হোর্হে মেসি গণমাধ্যমকে বলেন, তার ছেলে বার্সেলোনায় ফিরতে চায়। মেসি বার্সেলোনায় ফিরলে তিনিও নাকি খুশি হবেন।

এই খবরের পিঠেই আসে আরেক খবর, মেসি নাকি আল হিলালকে অনুরোধ করেছেন একটা বছর অপেক্ষা করতে। সৌদির ক্লাবটির সঙ্গে নাকি তিনি চুক্তিটা করতে চান ২০২৪ সালে। তার আগে একটা মৌসুম খেলতে চান বার্সেলোনায়। এর মধ্যেই আবার ইন্টার মায়ামির চমক।

আল হিলাল, বার্সেলোনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্লাবটির নাম জড়িয়েও গুঞ্জন ছিল শুরু থেকেই। ইন্টার মায়ামির মালিক ডেভিড বেকহাম অনেক আগে থেকেই মেসিকে দলে পাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে রেখেছিলেন। তবে সময়ের স্রোতে শেষ দিকে এসে ইন্টার মায়ামির নামটা একটু আড়ালেই পড়ে যায়। আল হিলাল আর বার্সেলোনার কথাই শোনা যাচ্ছিল বেশি। মেসির বাবাও যেমন একদিন আগে বলেছেন, আল হিলাল নাকি বার্সেলোনা—সিদ্ধান্ত আজ অথবা কাল। মানে হোর্হে মেসির মাথায় পরশুও ইন্টার মায়ামি ছিল না! অথচ সেই ইন্টার মায়ামির সঙ্গেই নাকি চুক্তির কাছে পৌঁছে গেছেন মেসি।

ব্রুনাতি রিপোর্ট করেছেন, সর্বশেষ কয়েক ঘণ্টায় ইন্টার মায়ামি তাদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। দুই পক্ষই চুক্তির খুব কাছে পৌঁছে গেছে।  পরিস্থিতি যা, তাতে চুক্তি নিয়ে এই গোলক ধাঁধার অবসান হবে একমাত্র চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পরই।

 

ইত্তেফাক/ইআ