সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ২০:২৭

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ রায় দেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাবু চৌকিদার (২৫) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের তাজুল চৌকিদারের ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের আজগর আলী খানের ছেলে জুয়েল খান (১৯), মৃত বাচ্চু সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (২২) ও চর ভয়রা গ্রামের বাদশাহ মিয়া সরদারের ছেলে তানভীর হোসেন শামীম (২২)।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডামুড্যা উপজেলার কুলকুড়ি গ্রামের ওই কিশোরী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে বাড়ির পাশের খালে তার হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ অক্টোবর ডামুড্যা থানায় ওই কিশোরীর বাবা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

মামলার বাদী বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, আমরা অনেক খুশি ও সন্তুষ্ট। আমরা চাই এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। রায় দ্রুত কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আর প্রত্যেকটা ধর্ষণের ঘটনায় এরকম রায় হলে আমাদের সমাজে ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে।

তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তানভীর আহমেদ শামীমের মা বলেন, আমার ছেলে স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব, সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, আসলে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা এই মামলার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি, আমরা সঠিক বিচার পাবো।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, এর আগে আসামিরা আদালতে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে নিজেদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পর্যবেক্ষণ শেষে আজ এই রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এইরকম যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ হলে ধর্ষণের মতো ঘটনা কমে আসবে।

ইত্তেফাক/পিও