রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের ৩৭ যুদ্ধবিমান

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৫:২১

প্রায় ছয় ঘন্টার মধ্যে ৩০টিরও বেশি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায়  প্রবেশ করেছে, দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভি।

চীন স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে তার এলাকা বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তা দখল করার অঙ্গীকার করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বেইজিং উক্ত দ্বীপে আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলগুলোতে আকাশ পথে অনুপ্রবেশকে তীব্র করেছে। ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় তা দ্বিগুণ হয়েছে। 

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফ্যাং বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা থেকে মোট ৩৭টি চীনা সামরিক বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এডিআইজে প্রবেশ করেছে।

সকাল ১১টার দিকে সান বলেন,‘কেউ কেউ দীর্ঘ-পরিসরের রিকনেসান্স প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে চলে গেছে।’

তাইওয়ানের এডিআইজে এর আকাশসীমার চেয়ে অনেক বড়, যা চীনের এডিআইজের কিছু অংশের সঙ্গে ওভারল্যাপ করে এবং এমনকি কিছু মূল ভূখণ্ডও যুক্ত রয়েছে।

তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে,  মন্ত্রণালয় টুইটারে বলেছে, ‘টহল বিমান, নৌযান এবং স্থল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাঠানো হয়েছে।’

অনুপ্রবেশ চলমান কিনা তা তারা স্পষ্ট করেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন এবং জাপান ফ্ল্যাশপয়েন্ট দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের প্রথমবারের মতো যৌথ কোস্টগার্ড মহড়া সম্পন্ন করার একদিন পরে এই অনুপ্রবেশ ঘটেছে , বেইজিং প্রায় সম্পূর্ণরূপে দাবি করে।

সাধারণত তাইপেই অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেলে তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং নৌ মহড়ার বৃদ্ধি পায়। 

তাইওয়ানকে একটি সার্বভৌম জাতি হিসাবে বিবেচনা করে এমন যে কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপকে চীন বিরুধীতা করে এবং দ্বীপের চারপাশে যে কোনো যৌথ সামরিক মহড়া বা পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের সফরের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

এপ্রিলে, ক্যালিফোর্নিয়ায় রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এবং তাইওয়ানের নেতা সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং দ্বীপের অবরোধের অনুকরণে তিন দিনের সামরিক মহড়া পরিচালনা করে।

ইত্তেফাক/এফএস