বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমকে ভোট দেওয়ার ওয়াদা করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাউন্সিলর প্রার্থী এ টি এম শহিদুল্লাহ কবির। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুনরায় হাতপাখার পক্ষে আওয়ামী লীগের একটি অংশ কাজ করার বিষয়টি উঠে আসে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী শহিদুল্লাহ কবির। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে বরিশাল সিটি নির্বাচন কেন্দ্রীক আরও একটি ভিডিও।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতার করা ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানের সামনে গাড়ি নিয়ে দাঁড়ান। এসময় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল্লাহ কবির ও তার লোকজন ফয়জুল করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দোয়া চান। পরবর্তীতে ফয়জুল করিমকে ভোট দেওয়ার ওয়াদা করেন শহিদুল্লাহ কবির ও তার সমর্থকরা। এমনই অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুনরায় হাতপাখার পক্ষে আওয়ামী লীগের একাংশের কাজ করার বিষয়টি সামনে আসে।
নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এ টি এম শহিদুল্লাহ কবির বলেন, তফসিল ঘোষণার আগের ভিডিও ওটা। আমি কারো কাছে ওয়াদা করিনি। আমাকে নির্বাচনী চাপে ফেলতে আমার প্রতিপক্ষরা এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। আর একজন লোকের সঙ্গে দেখা হলে তো তাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সে আমার কাছে দোয়া চাইছে, আমিও তার কাছে দোয়া চেয়েছি, এর বেশি কিছুই না।
জানা গেছে, নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এটিএম শহিদুল্লাহ কবির। বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী তিনি।এমনকি গাঁ বাঁচাতে কয়েক সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন।
এদিকে, শহিদুল্লাহ কবির নৌকাকে ডুবাতে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক কাউন্সিলর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন। তিনি আরো জানান, শহিদুল্লাহ বিএনপির লোক। নৌকাকে ডুবাতেই তিনি এ কাজ করছেন।