তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন জুন-জুলাই মাস গাছ লাগানোর উপযোগী সময়, প্রত্যেকে তিনটি করে গাছ লাগাবেন। যেখানে জায়গা আছে সেখানেই গাছ লাগাতে হবে। আর কেউ যাতে অকারণে গাছ না কাটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকাভিত্তিক 'সুফল' প্রকল্পের উপকারভোগী এবং বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী সকলকে একটি করে ফলজ, বনজ ও ওষধি গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর নাগরিকদের সহ-ব্যবস্থাপনায় বন রক্ষার উদ্যোগ নেয়। এ ব্যবস্থায় বনসম্পদ বৃদ্ধির পর সেই টাকার লভ্যাংশ সহব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত স্থানীয়দের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এ কার্যকর পদ্ধতি চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, '২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আমাকে বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে পাঁচ বছর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। মূলত এই কার্যক্রমগুলো তখনই শুরু করা হয়। যখন আমরা প্রথমবার সরকার গঠন করি তখন হাতি দ্বারা আহত ও নিহতদের সহায়তার এই পদ্ধতি প্রথম চালু করি। বন সহব্যবস্থাপনা কমিটিও তখন বিস্তৃত করা হয়। আজকে সেটার সুফল আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ পাচ্ছে সেটা আনন্দের।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ৩৭৭ জন বন বিভাগের উপকারভোগীদের কাছে ২৫ হাজার ২০০ টাকা করে ৯৫ লাখ টাকারও অধিক অর্থের চেক বন বিভাগের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হচ্ছে। গাছ লাগালেও যে সেটি টাকায় রূপান্তরিত হয় তার প্রমাণ হলো এটি। এবং আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার এটি চালু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ের মানুষ, আমরা বন রক্ষা করি বলেই সরকারের এসব সুবিধা পাচ্ছি। রাঙ্গুনিয়ার আরও সাড়ে চারশত মানুষ এই সুবিধা পাবে। সুতরাং সবাইকে অনুরোধ জানাবো এই জুল-জুলাই মাসে সবাই যতটুকু সম্ভব গাছ লাগাবেন। আর কেউ যেন বনের সম্পদ নষ্ট না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল-মামুনের সভাপতিত্বে ও রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান ও আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বন্য হাতির দ্বারা নিহত একটি পরিবারকে নগদ ৩ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্থ ২৭ জনকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং সুফল প্রকল্পের এফসিভি’র সদস্য ৩৭৭ জনকে মোট ৯৫ লাখ ৪০০ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।