শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দাম কমেছে পেঁয়াজের

আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, ০১:৩০

দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার পর খুচরা বাজারে গত কয়েক দিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ভোক্তাদের মধ্যে।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর গত ৭ জুন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে মাত্র ৮ হাজার ৩০০ টন। এতেই পেঁয়াজের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশে প্রচুর পেঁয়াজ ঢুকবে। এতে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে আসবে। উল্লেখ্য, দেশের বাজারে হঠাৎ করেই লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় উঠে যায়। 

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের পরও পণ্যটির দাম যেভাবে বেড়েছে, তা অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। পরে শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকার গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর থেকেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে যে দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তাতে সব খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানির মূল্য ২০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সে হিসেবে বর্তমানে বাজারে যে দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বেশি হচ্ছে তা অনেক বেশি। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমলেও আদার দাম কমছে না। খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে রসুনের দামে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন  ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমএএম