‘দ্যাশের সকল মানুষের কাছ থেকি চাঁদা তুলি কয়লা ও জ্বালানি তেল কিনে বিদ্যুতের উন্নতি করতি হবি। সব দায় একা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপালি চলবি না। আমরা দ্যাশের মানুষ, আমাগেরও দায়িত্ব রইছে। শেখ হাসিনা কৃষকসহ সকলের জন্যি অনেক কিছু করিছে। বিদ্যুৎ চালানোর জন্য শেখ হাসিনার তহবিলে টাহা নাই। অথচ তারই জন্যি আমরা কৃষকরা আজ সুখে আছি। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের দ্যাশে ও বিদেশে প্রচুর টাহা রইছে। মন্ত্রী-এমপিরাও অনেক টাহা কামাইছে। অথচ এখন বিদ্যুতের জন্য কয়লা ও তেল কেনার সরকারের হাতে টাহা নাই।’
গ্রাম্য গৃহবধূ থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত এবং এআইপি খেতাবপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর নূরুন্নাহার বেগম বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে দৈনিক ইত্তেফাকের কাছে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
নূরুন্নাহার বেগম বলেন, বিদ্যুতের কারণে চাষাবাদ ও কলকারখানায় উৎপাদন হতি পারছি না। এরই মধ্যি খরা চলতিছে। এ অবস্থা চলতি থাকলি সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবি। তাই কয়লা ও জ্বালানি তেল কেনার জন্যি চাাঁদা-হাড়ি তুলি তহবিল তৈরি করা হোক। সেই তহবিলে আমি ৫ লাখ টাকা দেব জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে এখন এমন কেউ নাই যে খাতি পায় না। সকলের কাছেই কম-বেশি টাহা রইছে। কয়লা ও জ্বালানি তেল কেনার জন্যি যার যার সামর্থ্য ও সদিচ্ছার সঙ্গে ২০০-৫০০ টাকা করি চাঁদা-হাড়ি তোলারও ব্যবস্থা নিতে হবি। এমপি-মন্ত্রী-শিল্পপতিসহ যারা বিদেশে টাহা পাচার করিছে, তারা বেশি বেশি দিবি। এরা সরকারের সকল সুবিধা ভোগ করবি, আর টাকা দিবি না তাতো হবি না। পদ্মা সেতুর মতো সরকারি চাকুরেদের চাঁদা-হারি তহবিলে ১-২ দিনের বেতনের টাহা জমা দিতি হবি।
নারী উদ্যোক্তা নূরুন্নাহার আরও বলেন, আমি মূখ্যু মানুষ, লেহাপড়া তেমন জানি না। যা বুঝি তাই বললাম। আপনারা সাংবাদিকরা ভালো করি ল্যাখেন। একা শেখ হাসিনা দ্যাশেক আগেই সোনার বাংলা বানিয়েছেন। কিন্তু আমরা কেউ সুফল পাইছি না। প্রচুর খাদ্য দ্যাশে মজুদ রইছে। অথচ কিছু কিছু ব্যবসিক চক্রান্ত করে মাঝি-মধ্যি জিনিসের দাম বাড়াইয়ে সরকার ও দ্যাশের মানুষকে বেকায়দায় ফেলতিছে। এরা লাভবান হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বদনাম হতিছে সরকারের আর শেখ হাসিনার। বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা জোরদার করতি হবি। দেখবিন দামে হাতের নাগালে চলে আসবিনে।