বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বদলে গেছে কমলাপুর স্টেশনের চিত্র, নেই চিরচেনা ভিড়

আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ১৩:২১

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার (১৪ জুন) থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ২৯ জুনকে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে আজ সকাল ৮টায় রেলওয়ের ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট ও রেলসেবা অ্যাপে এই টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের মতো এবারও রেলের অগ্রিম টিকিট শতভাগ বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। এর ফলে গত বছরগুলোর মতো রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অগ্রিম টিকিট কাটার চিরচেনা সেই ভিড় দেখা যায়নি।

ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার টিকেট কেনার কোন লোক নেই কমলাপুরে। নেই টিকিটের জন্য হাহাকার, হয়রানি, ঝক্কি-ঝামেলাও।

টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে কমলাপুর স্টেশনের চিত্র। ছবি: ফোকাস বাংলা

এই রেল স্টেশনেই টিকিট বিক্রির দু’দিন আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো হাজার-হাজার মানুষ। শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রির কারণে কমলাপুর রেল স্টেশনে অনেকটাই সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।

এদিকে, এই ঈদে প্রথমবারের মতো অঞ্চলভেদে দুই শিফটে টিকিট বিক্রি করা হবে। একইসঙ্গে টিকিটপ্রত্যাশীদের সার্ভারে চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রতিদিন সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট এবং দুপুর ১২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের টিকিট।

তবে যাত্রীসাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে কমলাপুর স্টেশনের চিত্র। ছবি: ফোকাস বাংলা

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ জুনের টিকিট ১৪ জুন বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২৫ জুনের টিকিট ১৫ জুন, ২৬ জুনের টিকিট ১৬ জুন, ২৭ জুনের টিকিট ১৭ জুন এবং ২৮ জুনের টিকিট ১৮ জুন বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯, ৩০ জুন ও ১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে।

অপরদিকে, ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে একযোগে টিকিট বিক্রি শুরু হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিটি ট্রেনের আসন খালি হয়ে যায়। টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে যারা প্রথমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ঢুকতে পারেননি, তারা পরে ঢুকে আর কোন খালি আসন পাননি। টিকিট না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

ইত্তেফাক/এসকে