ভোজ্য তেল, মসুর ডাল ও চিনির সঙ্গে সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির কার্ডধারীরা এখন থেকে স্বল্পমূল্যে চালও পাবেন। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে একজন কার্ডধারী পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। গতকাল রবিবার রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে সারা বিশ্বে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এই অবস্থা থেকে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতার জন্য ১ কোটি পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর পাশাপাশি সরকারের ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও জেলেদের জন্য বিশেষ খাদ্যসহায়তা চলমান আছে। তিনি বলেন, বছরে প্রায় ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়। এর সঙ্গে টিসিবির ১ কোটি কার্ডধারীকে বছরে ৬ লাখ টন চাল দেওয়া হলে বাজারের ওপর চাপ কমবে। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারায় নিম্ন আয়ের মানুষেরও সুবিধা হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এত বড় কর্মযজ্ঞে দু-একটা ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটতে পারে। এমন কিছু ঘটলে আমাদের নজরে আনবেন, আমরা পদক্ষেপ নেব। অনেক পরিবেশকের মধ্যে অপরাধ করার প্রবণতা আছে, তবে সবাই সমান নন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ১ কোটি পরিবার চাল পাওয়া মানে ৫ কোটি মানুষ সরাসরি এর মাধ্যমে উপকৃত হওয়া। জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, এর জন্য মানুষ চাপে আছে। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ১ কোটি পরিবার এই সুবিধা পাবে। পরিবারের সদস্যসংখ্যা গড় করলে মোটামুটি ৫ কোটি লোক এই সুবিধার অংশ হতে পারবে। তাতে তাদের কষ্টটা কমবে। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত এক বছর যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যপী খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাতে সাধারণ মানুষ টিসিবির পণ্যের মধ্যে চাল যুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।