বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওসার আহমেদ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। অভিভাবকের সঙ্গে সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব আমরা।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ মিনিট না হলে অন্তত দুই মিনিটের জন্য যেন অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তাদের সাক্ষাৎ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা বাড়ি ফিরে যেতে চান।’
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ডাকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। আন্দোলনের ১২তম দিনে আজ এ কথা বলেন সংগঠনটির শিক্ষকনেতা শেখ কাওসার আহমেদ।
শেখ কাওসার আহমেদ জানান, আগামীকাল সকাল আটটায় আবারও কর্মসূচি শুরু করা হবে। এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ভ্রাতৃপ্রতিম কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন মিলে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ সংগ্রাম পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে গত বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এ বিষয়ে (জাতীয়করণ) আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই। তবে জাতীয়করণের যৌক্তিকতা আছে কি নেই, সেটাসহ শিক্ষা, শিক্ষকদের সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী আগস্টের শেষ নাগাদ এই দুটি কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে। একটি কমিটি জাতীয়করণসহ শিক্ষা ও শিক্ষকদের মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, যৌক্তিকতা ও করণীয় বিষয়ে গবেষণা করবে। আরেকটি কমিটি আর্থিক বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।
তবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে সেদিনের আলোচনা ‘ফলপ্রসূ হয়নি’ বলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।