শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

গ্রিসে দাবানল

বাড়ি ও হোটেল ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৪:২২

গ্রিসের পর্যটন এলাকা রোডস দ্বীপের বিস্তৃত এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ও হোটেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি।

দেশটির ফায়ার সার্ভিস বলছে তারা এখন সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যে এখন প্রচণ্ড বাতাসসহ দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে দ্বীপটি। তবে দেশটির জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এখন পর্যন্ত কারও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

তারা বলছে দ্বীপটির যেসব এলাকা বেশি আক্রান্ত সেখান থেকে পর্যটকদের নিরাপদে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং ১৭৩ জন দমকল কর্মী ওই এলাকায় কাজ করছে। আগুনে তিনটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি তার মধ্যে আছে লায়েরমা, লারডোস ও আস্কলিপিও।

দ্বীপের পূর্বাঞ্চলের সৈকত এলাকা থেকে লোকজনকে তুলে নিরাপদ জায়গায় নিতে কোস্টগার্ডকে সহায়তা করেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন নৌকাগুলোও।

গ্রিক নৌবাহিনীর জাহাজ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। এলাকাটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

দমকল বাহিনীর ডেপুটি প্রধান লোয়ানিস আরতোফিওস বলেছেন লোকজনের ব্যবহারের জন্য ফেরি রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ডেপুটি মেয়র বলেছেন বাকী লোকজনকে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে।

গ্রিক টেলিভিশনে পর্যটকদের লম্বা লাইন করে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ দেখা গেছে, যেখানে পেছন দিকে দেখা যাচ্ছিলো দাবানল।

একজন ব্রিটিশ পর্যটক বলেছেন তাকে তার বোন ও কন্যাসহ হোটেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে আরও শতশত লোকের সঙ্গে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সৈকতে আটকা আছেন তারা।

দমকল বাহিনীর গাড়ি

‘সেখানে একটা খুপরি ঘরের মতো জায়গা, কিন্তু আমরা অনেক মানুষ,’ বেকি মুলিগান বলছিলেন বিবিসিকে।

‘সেখানে শিশুরা আছে। এখন দিনের মাঝামাঝি। আমরা জাস্ট আটকে আছি এবং সাহায্য করার কেউ নেই। খুবই বিরক্তিকর এটা’।

তার বর্ণনায় দিনের মধ্যভাগেই সেখানকার আকাশ সূর্যাস্তের সময়ের মতো। অনেকে পানি ও ভেজা তোয়ালে খুঁজছেন। অথচ হাজারো মানুষকে সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে।

সাইমন হুইটলি নামে আরেকজন বলছিলেন তিনি পিৎজা খাচ্ছিলেন এবং তাতে এসে ছাই পড়তে শুরু করেছিলো।

‘হোটেল থেকে বলা হচ্ছিলো যে এটা স্বাভাবিক এবং তাদের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই,’ বিবিসিকে বলছিলেন তিনি।

ইত্তেফাক/এফএস